পটিয়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা, পুলিশের নির্দেশে নির্মান কাজ বন্ধ
কাউছার আলম কাউছার আলম
পটিয়া, দক্ষিণ চট্টগ্রাম

পটিয়ায় আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে সেমিপাকা স্থাপনা নির্মাণ করে জায়গা জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে। বিরোধীয় জায়গাটিতে কোন ধরনের সংস্কার ও স্থাপনা নির্মাণে বিরত থাকার নির্দেশ দেয় আদালত।
গতকাল বৃহস্পতিবার পটিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন। পরে বিবাদীর লোকজনকে মুচলেখা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এছাড়াও গত মঙ্গলবার বিরোধীয় জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ না করার জন্য পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে গেলে প্রতিপক্ষরা পুলিশকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে পটিয়া থানা এস আই বোরহান উদ্দীন একটি সাধারণ ডায়েরী করে। আদালতের নির্দেশে পটিয়া পৌরসভা ও পুলিশ নোটিশ জারি করে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও আদালত ও পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পটিয়া পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের থানা হাটের উত্তর পার্শ্বে আকতার হোসেনের সাথে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর গংদের জায়গা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এই নিয়ে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট আদালতে মামলা দায়ের করেন আকতার হোসেন। উক্ত মামলায় আদালত নালিশী জমিতে কোন প্রকার স্থাপনা নির্মাণ, পরিবর্ধন, পরিমার্জন, সংস্কারসহ সকল প্রকার কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার আদেশ প্রদান করে। প্রতিপক্ষরা আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে রাতের আঁধারে উক্ত বিরোধীয় জায়গায় সেমি পাকা ভবন নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে, পটিয়া পৌরসভার নিকট থেকে অনুমোদন না নিয়ে ইমারত নির্মান করায় গত ২৮ জুন একটি স্মারকমূলে ইমারত নির্মান কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়। পটিয়া পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী স্বাক্ষরিত মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে গংদের নোটিশে প্রদান করা হয়। উক্ত নোটিশটি পটিয়া পৌরসভার মেয়র, পটিয়া থানার ওসি, স্থানীয় কাউন্সিলর ও বাদী আকতার হোসেনকে অবহিত করা হয়।
এ ব্যাপারে আকতার হোসেন জানান, আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলে নেয়ার চেষ্ঠা করলে আমি বাধা দিলে প্রতিপক্ষরা আমাকে ও পুলিশ উপর হামলার চেষ্ঠা চালায়।
পটিয়া থানার উপ পরিদর্শক বোরাহান উদ্দীন জানান, আদালতের নির্দেশ পেয়ে আমরা স্থাপনা নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে নোটিশ জারি করেছি। পরে আদেশ ্উপেক্ষা করে নির্মাণ কাজ চালিয়ে গেলে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাই। এই সময় বিবাদীরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদেরকে গালিগালাজ করতে থাকে। যাতে কোন ধরণের নির্মাণ কাজ না করা হয় তার জন্য তাদের নিকট মুছলেখা নেয়া হয়।